
🧭 ভূমিকা: Bengali Migrants Detention নিয়ে কেন উত্তাল আদালত?
সম্প্রতি Bengali Migrants Detention নিয়ে Calcutta High Court-এ একের পর এক হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন জমা পড়েছে। Murshidabad জেলার দুই শ্রমিকের পরিবার অভিযোগ করেছেন যে Odisha পুলিশ তাদের বেআইনিভাবে আটক করেছে শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে। এই ঘটনায় Bengali Migrants Detention-এর বিষয়টি জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।
⚖️ 1. আদালতের কড়া অবস্থান
24 জুলাই, বিচারপতি Tapabrata Chakraborty ও Reetobroto Kumar Mitra-র ডিভিশন বেঞ্চ শুনানির সময় Odisha সরকারের Advocate General (AG)-কে নির্দেশ দেন যে 20 আগস্ট-এর মধ্যে affidavit জমা দিতে হবে।
আদালত প্রশ্ন তোলে:
- Rakhibul ও Sainur কি সত্যিই আটক হয়েছিলেন?
- আটক হলে তা আদালতের নির্দেশে হয়েছিল কি না?
- তাদের ডকুমেন্ট যাচাইয়ে কী পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল?
এই সব প্রশ্নই Bengali Migrants Detention ইস্যুকে আরও জোরালো করেছে।
👨⚖️ 2. Bengali Migrants Detention নিয়ে পিটিশনারদের অভিযোগ
Nasima Mondal ও Rajjak Sheikh নামক দুই অভিভাবক অভিযোগ করেন, তাদের ছেলেরা—Rakhibul Islam Mondal ও Sainur Islam—কে যথাক্রমে ২৫ জুন ও ৩০ জুন, Odisha-র Jagatsinghpur জেলা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
তাদের দাবি:
- বৈধ পরিচয়পত্র (Aadhaar, Voter ID, Ration Card) থাকা সত্ত্বেও,
- শুধুমাত্র Bengali ভাষায় কথা বলার কারণে,
- তাদের Bangladeshi সন্দেহে আটক করা হয়,
- এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির না করেই দীর্ঘ সময় আটক রাখা হয়।
📃 3. Bengali Migrants Detention নিয়ে AG-এর ব্যাখ্যা
Odisha AG Pitambar Acharya আদালতে জানান যে, এই ধরনের অভিযান Foreigners Act, 1946-এর Section 3 অনুসারে পরিচালিত হয়েছে। সন্দেহ হলে, নাগরিকত্ব যাচাই করার আইনি অধিকার সরকারের আছে।
তবে তিনি দাবি করেন:
“এই দুটি Bengali Migrants-এর কেস ছিল ফ্রিভলাস (frivolous)। আমরা শুধু সন্দেহ হলে যাচাই করি, সেটা ভাষা দেখে নয়।”
তবে তা সত্ত্বেও Bengali Migrants Detention প্রসঙ্গে কোনও Tamils বা Gujaratis আটক হননি বলেই জানা গেছে।

🔄 4. Petitioners-এর পাল্টা প্রশ্ন
Kalyan Banerjee, Petitioners-এর পক্ষে যুক্তি দেন:
“শুধু সন্দেহের বশে কাউকে বিদেশি বলা যায় না। বৈধ ডকুমেন্ট থাকা সত্ত্বেও Bengali Migrants-দের টার্গেট করা হচ্ছে। যদি ভাষার ভিত্তিতে এই অভিযান হয়, তাহলে এটা একপ্রকার জাতিগত বৈষম্য।”
তাঁর প্রশ্ন:
- “কতজন Tamil বা Gujarati শ্রমিক আটক হয়েছেন?
- কেন শুধু Bengali Migrants-দের ডকুমেন্ট চেক করা হচ্ছে?”
📝 5. আগের নির্দেশ: ১০ জুলাই-এ প্রথম নির্দেশ
১০ জুলাই-এর আগের শুনানিতে আদালত প্রথম নির্দেশ দেন যে Odisha সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে:
- Rakhibul ও Sainur নিখোঁজ, না কি আটক?
- আটক হলে কোন আদালতের নির্দেশে তা হয়েছে?
- কতক্ষণ ধরে আটক রাখা হয়েছে?
এই নির্দেশের পরেই শুরু হয় Bengali Migrants Detention-কে ঘিরে আইনি লড়াই।
📆 6. আদালতের পরবর্তী সময়সীমা
🔢 পদক্ষেপ | 📅 নির্ধারিত তারিখ |
---|---|
Affidavit জমা দেওয়া | 20 আগস্ট, 2025 |
Petitioners-এর জবাব | 27 আগস্ট, 2025 |
পরবর্তী শুনানি | 29 আগস্ট, 2025 |
📣 7. Bengali Migrants Detention: একটি বৃহত্তর প্রশ্ন
এই ঘটনা কেবলমাত্র দুই ব্যক্তি Rakhibul ও Sainur-এর নয়, বরং পুরো Bengali Migrant Community-র একটি বড় প্রশ্ন তুলে ধরে:
- কেন শুধুমাত্র Bengali Migrants-দের উপরই এমন নজরদারি?
- বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কেন তারা টার্গেট হচ্ছেন?
- এমনকি আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া কি তারা মুক্তি পেতেন?
এই প্রশ্নগুলি আজ ভারতের মানবাধিকার, নাগরিক অধিকার এবং সংবিধানিক নিরাপত্তা নিয়ে গভীর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
🧩 উপসংহার: Bengali Migrants Detention শুধু আইনি নয়, সামাজিক ইস্যুও
Bengali Migrants Detention এখন আর শুধুই একটি আদালতের কেস নয়, এটি একটি বৃহত্তর সামাজিক এবং সাংবিধানিক প্রশ্ন। Calcutta High Court-এর হস্তক্ষেপ হয়তো সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে, তবে এর স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন ন্যায়সঙ্গত ও মানবিক আইন প্রয়োগ।