
🕵️ লেখক: অদিতিয়া রায় | প্রকাশিত: আজ
ভারতের অভ্যন্তরেই বাড়ছে অদৃশ্য হুমকি। বাইরের শত্রু নয়, আজ প্রশ্ন উঠেছে বাড়ির ভেতরের শত্রুদের নিয়েই। অপারেশন সিন্দুরের পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে একটাই দাবি—বাড়ির শত্রুদের চিহ্নিত করা হোক। অবশেষে সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি হলো ঐতিহাসিক নির্দেশিকা।
👉 ৩০ দিনের আল্টিমেটাম:
সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—৩০ দিনের মধ্যে সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত, শনাক্ত ও প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
🔒 স্পেশাল টাস্ক ফোর্স:
প্রত্যেকটি জেলায় গঠিত হবে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স। এই বাহিনীর অধীনে থাকবে পুলিশ, যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ধরবে ও ডিটেনশন সেন্টারে রাখবে যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের ফেরত পাঠানো যায়।
📌 সেন্ট্রাল রেকর্ডিং ও ডাটা শেয়ার:
সকল অনুপ্রবেশকারীদের তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দিতে হবে। UIDAI, নির্বাচন কমিশন ও বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে তথ্য ভাগ করে নেওয়া হবে যাতে ভবিষ্যতে এরা নতুন করে ভারতীয় নথি তৈরি না করতে পারে।
🚫 নকল আধার/ভোটার কার্ডধারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা:
যাদের কাছে ইতিমধ্যে ভোটার বা আধার কার্ড রয়েছে, তাদের আরও কঠোরভাবে যাচাই করে একে একে সমস্ত ভুয়া পরিচয় বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

🛂 ডিপোর্টেশন শুরু:
আসাম, গুজরাট, রাজস্থানসহ বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ৬৪ জন বাংলাদেশি ও ১০৩ জন রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
📣 ভারত ধর্মশালা নয়!
সুপ্রিম কোর্টও স্পষ্ট জানিয়েছে—ভারত কোনও ধর্মশালা নয়, সমস্ত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দেশ ত্যাগ করতেই হবে।
🔥 ভারতের নিরাপত্তা প্রশ্নে আপস নয়:
এবার স্পষ্ট যে ভারত সরকার বাড়ির শত্রুদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। যারাই ন্যাশনাল সিকিউরিটি ব্রিজ করছে, তাদের আর কোনো ছাড় নেই।
📌 শেষ কথা:
এটি শুধু আইনি পদক্ষেপ নয়, ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষার একটি জরুরি সিদ্ধান্ত। দেশপ্রেমিক প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য—এই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানানো ও সচেতনতা ছড়ানো।
📝 আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না নিচের কমেন্ট সেকশনে। ajke.in সবসময় পাশে আছে আপনাদের নিরপেক্ষ ও স্পষ্ট সংবাদ পৌঁছে দিতে।