
Operation Mirzafar: India’s Crackdown on ISI’s Spy Network Reveals Shocking Espionage Tactics
By: Ajke.in
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির জোরালো অভিযান “অপারেশন মিরজাফর”-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর একটি বিস্তৃত চর নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হয়েছে। এই অভিযানে জ্যোতি রানী মালহোত্রা, মোহাম্মদ তুফেল, মোহাম্মদ হারুন-সহ একাধিক সন্দেহভাজন গুপ্তচর গ্রেপতার হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, কীভাবে আইএসআই ভারতীয় নাগরিকদের টার্গেট করে সামরিক ও কূটনৈতিক তথ্য পাচার করাচ্ছিল।

জ্যোতি রানী মালহোত্রা: ব্লগিংয়ের আড়ালে গুপ্তচরবৃত্তি
জ্যোতি রানী মালহোত্রা, একজন ট্রাভেল ব্লগার হিসাবে পরিচিত ছিলেন, যিনি পাকিস্তানে বারবার ভ্রমণ করতেন। গোয়েন্দাদের দাবি, তিনি পাক হাই কমিশনের কর্মীদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এবং ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলির সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানে পাচার করতেন। তার টার্গেটে ছিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও, পাঞ্জাবের অমৃতসর, রাজস্থানের বারমের, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি-র মতো স্ট্র্যাটেজিক লোকেশন। তদন্তে আরও প্রকাশ, জ্যোতি পাকিস্তানে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছিলেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
মোহাম্মদ তুফেল ও হারুন: আইএসআই-এর সরাসরি এজেন্ট
- মোহাম্মদ তুফেল (বারাণসী থেকে গ্রেপতার):
তুফেল পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-লাব্বাইক-এর সাথে যুক্ত ছিল। সে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য আইএসআই ও পাক সেনাবাহিনীতে পাঠাতো। তদন্তে জানা গেছে, তুফেল গাজওয়া-ই-হিন্দ-এর মতো জঙ্গি গ্রুপের সাথেও যোগাযোগ রাখত। - মোহাম্মদ হারুন (দিল্লি থেকে গ্রেপতার):
হারুন পাকিস্তান হাই কমিশনের কর্মী মোজাম্মল হোসেন-এর সাথে যোগাযোগ রাখত এবং ভিসা প্রক্রিয়ার সুযোগ নিয়ে গোপন তথ্য আদান-প্রদান করত।
আইএসআই-এর কৌশল: মানি ট্র্যাপ ও মগজধোলাই
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, আইএসআই টাকার লোভ দেখিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের রিক্রুট করে। এরপর তাদের মগজধোলাই করে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ব্ল্যাকমেইল করেও কাজ করানো হয়। আইএসআই-এর বিশেষ নজর থাকে:
- সামরিক স্থাপনা (যেমন: কর্তারপুর করিডর)
- সীমান্তবর্তী এলাকা (জম্মু-কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গ)
- সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা (যারা সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করে)
অপারেশন মিরজাফর: ভারতের জবাব
পহেলগাঁও হামলার পর অপারেশন সিদ্ধু-তে জঙ্গিদের ধ্বংস করার পর, এবার অপারেশন মিরজাফর-এর মাধ্যমে ঘরের শত্রুদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। এই অপারেশনের সাফল্য হলো:
✅ একের পর এক আইএসআই এজেন্ট গ্রেপতার
✅ পাকিস্তান হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ
✅ গুপ্তচর নেটওয়ার্কের বিস্তারিত তথ্য উন্মোচন
সতর্কতা: আইএসআই এখনও সক্রিয়
গোয়েন্দারা সতর্ক করে দিয়েছেন, আইএসআই নতুন নতুন পদ্ধতিতে ভারতীয় যুবকদের টার্গেট করছে:
- ফ্রি ওয়াইফাই জোন হ্যাক করে ডেটা চুরি
- সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করে ভারত-বিরোধী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা
- রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেতে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে তথ্য সংগ্রহ
মূল বার্তা
“অপারেশন মিরজাফর” প্রমাণ করেছে, আইএসআই শুধু জঙ্গি নয়, গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমেও ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে চায়। তবে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তাদের প্রতিটি পদক্ষেপের জবাব দিচ্ছে। সাধারণ নাগরিকদেরও সচেতন থাকা প্রয়োজন—কোনো অজানা ব্যক্তির প্রস্তাব বা টাকার লোভে পাকিস্তান বা সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকুন।
© ajke.in
#সতর্ক_থাকুন #ভারতের_নিরাপত্তা