
📅 তারিখ: ৫ জুন ২০২৫
✍️ By Capital News Desk
শর্মিষ্ঠা পনোলির গ্রেফতার, কিন্তু ধর্মবিরোধী মন্তব্যকারীরা মুক্ত | যখন দেশের আইন একটি নির্দিষ্ট দিকেই চোখ রাখে, তখন প্রশ্ন ওঠে—এই দেশে কি ন্যায় এখন তুষ্টিকরণের শর্তে পাওয়া যাবে?
হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারীরা যখন রাজনৈতিক আশ্রয়ে নিরাপদ থাকে, তখন এক ২২ বছর বয়সী মেয়েকে (শর্মিষ্ঠা পনোলি) ১৫০০ কিমি দূর থেকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠানো হয়। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া শর্মিষ্ঠা পনোলির ঘটনার প্রেক্ষিতে গোটা দেশ উত্তাল। অপরদিকে, ধর্মীয় উস্কানি দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে FIR হওয়া সত্ত্বেও কোনো গ্রেফতারি নেই।
🔥 কে এই রশিদি ও ওয়াজাহাত খান?

ওয়াজাহাত খান এবং কাদরি রশিদির মতো ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা হিন্দু ধর্ম এবং দেবদেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের নানা প্রান্ত থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ এখনও নিশ্চুপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কি এসব চরমপন্থীদের রাজনৈতিক নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে?
🚨 শর্মিষ্ঠার গ্রেফতার বনাম রশিদির রেহাই
শর্মিষ্ঠা পনোলি নামের এক তরুণী, যিনি আইন পড়ছেন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ, তাঁর বিরুদ্ধে “অপারেশন সিঁদুর” নিয়ে তথাকথিত সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের অভিযোগ তুলে FIR দায়ের করেন ওয়াজাহাত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাঁকে গুরগাঁও থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
অন্যদিকে, ওয়াজাহাত ও রশিদি মা কামাখ্যা ও হিন্দু দেবতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে চলেছেন। অথচ, তাঁদের বিরুদ্ধে FIR হওয়া সত্ত্বেও গ্রেফতারের কোনো চিহ্ন নেই।
🗣️ হেমন্ত বিশ্বশর্মার হুঁশিয়ারি

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, মা কামাখ্যার অপমানের ঘটনায় আসাম পুলিশ মামলা করেছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে ওয়াজাহাতকে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, আসাম পুলিশ এবার তাকে গ্রেফতার করতে পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালাবে।
🧨 রশিদির ‘ফাউন্ডেশন’ কি পাকিস্তান-যোগযুক্ত?
অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী অভিযোগ তুলেছেন, রশিদির পরিচালিত এক ফাউন্ডেশনের একটি শাখা নাকি পাকিস্তানেও আছে। এদের কর্মকাণ্ডে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ মনোভাব স্পষ্ট। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল এই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে NIA তদন্তের দাবি করেছেন।
🤔 একপাক্ষিক আইন প্রয়োগ?
কেন হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হলে গ্রেফতার হয় না কেউ? কেন শুধু ইসলাম নিয়ে মন্তব্য করলেই পুলিশ তৎপর হয়? এটাই কি ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা?
পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের সংখ্যা ৭০% হলেও, তাঁদেরকে বারবার অবহেলার শিকার হতে হচ্ছে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৮.১% ভোট পেয়েছিল, যেখানে তৃণমূল পেয়েছিল ৪৮%। মাত্র ১০% ব্যবধানে তফাৎ। কিন্তু মমতা সরকারের এই তুষ্টিকরণ রাজনীতি চলতে থাকলে আগামী নির্বাচনে হিন্দু ভোটে বড়সড় পরিবর্তন হতে পারে।
📣 জনগণের প্রতিক্রিয়া
সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে হিন্দু সংগঠন, আইনজীবী—সকলেই রশিদি ও ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মা কামাখ্যা ও শ্রীকৃষ্ণের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
🧭 উপসংহার
পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। তুষ্টিকরণের রাজনীতি একদিকে যেমন হিন্দু সমাজে ক্ষোভের সঞ্চার করছে, অন্যদিকে দেশের আইন-শৃঙ্খলার ওপর বড় প্রশ্ন তুলছে। এই পরিস্থিতিতে কি মমতা সরকার পদক্ষেপ নেবে? নাকি আরও একবার চুপ থাকার পথই বেছে নেবে?
আপনার মতামত জানান নিচের কমেন্ট বক্সে। আরও আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন।