
ajke.in সংবাদ ডেস্ক |
বিহারের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে আরজেডি-র অন্দরমহলে। নির্বাচনের মুখে লালুপ্রসাদ যাদব তাঁর বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। এই সিদ্ধান্তে বিহারে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দলীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, তেজপ্রতাপ যাদবের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য এবং রাজনৈতিক অবস্থান আরজেডি-র মূল লড়াইকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ভাই তেজস্বী যাদব স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, “তেজপ্রতাপের আচরণে আমরা সম্মত নই। দলের ঐক্যে ভাঙন ধরাচ্ছে ওর ব্যবহার।”
তেজপ্রতাপ বরাবরই বিতর্কিত বক্তব্য ও আকস্মিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত। কিন্তু এইবার বিষয়টি চরমে পৌঁছেছে। আরজেডি শিবিরে ক্ষোভ ও বিভ্রান্তি দুটোই স্পষ্ট। ভোটের আগে এমন একটি সিদ্ধান্তে দল কতটা রাজনৈতিক ক্ষতি পাবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছে।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে স্থানান্তরিত হয়েছে তাঁদের ধর্না মঞ্চ। শিক্ষকদের দাবি, সরকারি ও কমিশনের তরফ থেকে তাদের সমস্যার সুনির্দিষ্ট সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
চিন্ময় মণ্ডল, একজন চাকরিচ্যুত শিক্ষক বলেন, “আমরা সরকার বা কমিশনের কাছ থেকে স্পষ্ট উত্তর চাই। যদি দেখা না পাই, যদি কোনো সদুত্তর না আসে, তাহলে আমরা অবশ্যই নতুন কৌশল নেব। সরকার বা কমিশন – কেউ যেন অন্তত একটা পথ দেখান যে আমাদের জন্য তারা কী ভাবছেন, কী পদক্ষেপ নিতে চলেছেন।”
তাঁদের মতে, এতদিন ধরে আন্দোলনের পরও সরকারের তরফে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ আসেনি। একাধিক ডেডলাইন দেওয়া হলেও, শিক্ষকরা কোনো স্থায়ী প্রতিশ্রুতি পাননি। ফলে এবার তাঁরা চাইছেন একটি স্পষ্ট দিশা – যা আন্দোলনের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমি একটা চিঠি পেয়েছি। তবে সেখানে কেন আলোচনায় বসতে চাওয়া হয়েছে, তার কোনও উল্লেখ নেই। আমি যতদূর জানি, কয়েক হাজার শিক্ষক আমাকে কোনো চিঠি দেননি এবং সম্পূর্ণভাবে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতায় আগ্রহী। আবার কিছু মানুষ আন্দোলনেই নেই – তারা আইনি লড়াইয়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা তিন পক্ষকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। কিন্তু যারা আলোচনায় বসতে চায়, তারা যেন নির্দিষ্টভাবে একটি ফরম্যাটে আমাদের চিঠি দেন। তখনই আমরা আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। কাল আমাদের দপ্তর থেকে নিশ্চয়ই কেউ যোগাযোগ করবেন এবং প্রক্রিয়াটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।”
রাজ্যে শিক্ষক আন্দোলন যতই জোরদার হোক না কেন, সরকারের তরফে বারবার আলোচনার পথ খোলা রাখা হয়েছে। তবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে সন্দিহান। তাদের মতে, যতদিন না সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, ততদিন আন্দোলন চলতেই থাকবে।
এই মুহূর্তে বিহার থেকে বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক আবহ – দুটোই উত্তপ্ত। একদিকে আরজেডি-র অন্তর্দ্বন্দ্ব, অন্যদিকে রাজ্যের শিক্ষকদের দীর্ঘস্থায়ী অসন্তোষ – এই দুই ইস্যুই এখন খবরের শিরোনামে।
🔗 আরও খবর পড়ুন:
ajke.in
আরও এমন প্রতিবেদন পেতে চোখ রাখুন ajke.in এ।