
📅 ajke.in ডেস্ক | ২৮ মে ২০২৫
সম্প্রতি মে মাসের শুরুতেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই সময়ে তুরস্ক প্রকাশ্যেই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়। বিষয়টি ঘিরে ভারতের নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয় এবং খুব দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করতে থাকে।
এই পরিস্থিতি সামনে এনে দিয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর কী প্রভাব পড়বে?
🍎 তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে খাদ্যদ্রব্যের উপর সরাসরি প্রভাব
ভারত প্রতিবছর তুরস্ক থেকে প্রচুর শুকনো ফল ও মসলা আমদানি করে। এতে রয়েছে বাদাম, আখরোট, অলিভ অয়েল, এবং অ্যাপল-এর মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য।
✔️ আপেল:
একাধিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত প্রতিবছর প্রায় ১,২৯,৮৮২ মেট্রিক টন আপেল তুরস্ক থেকে আমদানি করে। যদি বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়, তাহলে বাজারে আপেলের দাম হঠাৎই বেড়ে যেতে পারে।
✔️ অলিভ অয়েল:
এই দামী তেল ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। তুরস্ক থেকে আমদানি বন্ধ হলে এটি আরও দুর্মূল্য হয়ে উঠবে।
✔️ চেরি ও হারবাল চা:
অনেকেই হারবাল চা পান করতে ভালোবাসেন কিংবা চেরি খান— এদের অধিকাংশই আসে তুরস্ক থেকে। তাই এই জিনিসগুলোর দামও ক্রমশ বাড়তে পারে।

🍽️ জনপ্রিয় তুর্কি খাবারেও পড়বে প্রভাব
বিগত কয়েক বছরে ভারতের মেট্রো শহরগুলিতে কুনাফা, তুর্কি কাবাব, এবং অন্যান্য তুর্কি খাবারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এগুলোর জন্য যেসব বিশেষ উপকরণ বা রেডিমেড প্যাকেট আমদানি করা হয়, তা বন্ধ হলে এই খাবারগুলোর যোগান ও দাম— দুইই চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে।
🏡 ঘরের সাজসজ্জা ও বিলাসবহুল সামগ্রীতেও প্রভাব
তুরস্ক থেকে শুধু খাবার নয়, ভারত আমদানি করে চা, কার্পেট, আসবাবপত্র, হস্তনির্মিত সাজসজ্জার জিনিস, লিনেন, সিল্ক ও মার্বেলের মতো সামগ্রীও। ফলে এই সকল পণ্যের দাম দ্রুত বেড়ে যেতে পারে, যা মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তদের বাজেটকেও প্রভাবিত করতে পারে।
🔍 মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের স্বার্থ সবার আগে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কে যদি দেশের মান সম্মানের হানি ঘটে, তাহলে তার জন্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তবে আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করাও জরুরি।”
🔚 উপসংহার
তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক যদি আরও খারাপ হয়, তাহলে শুধুমাত্র কূটনৈতিক দিক থেকেই নয়, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও তার সরাসরি প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে খাবার ও ঘর সাজানোর নানা পণ্যে দাম বেড়ে যেতে পারে, যা এক প্রকার চাপে ফেলতে পারে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে।
➡️ ভবিষ্যতে কি সত্যিই সম্পর্ক ছিন্ন হবে? নাকি রাজনৈতিক উত্তেজনা কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? সে উত্তর সময়ই দেবে।
📍 আরও আপডেট পেতে চোখ রাখুন — ajke.in