
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা- আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা, উদ্ধার কাজ চলছে
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা আজকের সবচেয়ে বড় এবং মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে। আহমেদাবাদের মেঘানীনগর এলাকায় একটি এয়ার ইন্ডিয়া-র যাত্রীবাহী বিমান অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই দুর্ঘটনায় প্রায় ২০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে দুর্ঘটনাস্থল পরিণত হয় এক বিভীষিকাময় পরিবেশে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এ অবতরণের সময় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে এবং সরাসরি বাউন্ডারি ওয়ালে ধাক্কা মেরে ভেঙে পড়ে। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল বিমানটি হয়তো রেসিডেন্সিয়াল এরিয়ায় ভেঙে পড়েছে, তবে পরে জানা যায় বিমানটি বিমানবন্দরের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে। এতে আশপাশের এলাকাগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্ঘটনার সময় বিমানটিতে প্রায় ২০০ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানটি অবতরণের মুহূর্তে আগুন ধরে যায় এবং মুহূর্তের মধ্যে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধারকারী দল, কুইক রেসপন্স টিম (QRT), দমকল বাহিনী এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও, বিমানের বেশিরভাগ অংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। উদ্ধারকারী দল দ্রুত যাত্রীদের বের করে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনো উদ্ধার কাজ চলছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমানের কোথা থেকে আসছিল বা কোথায় যাচ্ছিল, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, এটি একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ছিল।
ঘটনার পরই গোটা বিমানবন্দর এলাকা সিল করে ফেলা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে সমস্ত ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বিমানবন্দরে কর্মরত একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ার সঠিকভাবে কাজ করছিল না এবং পাইলটের নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হচ্ছিল।
এখনো পর্যন্ত সরকারি সূত্রে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা অনেক হতে পারে এবং প্রায় ২০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা চলছে।

এই দুর্ঘটনা ঘিরে গোটা দেশের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেশজুড়ে বিমান চলাচল নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাইলটের কথোপকথন, বিমানের ব্ল্যাক বক্স এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি মেঘা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলের প্রথম চিত্র ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। বিমানের ধ্বংসাবশেষ, পুড়ে যাওয়া অংশ এবং বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মালামাল দেখে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা স্পষ্ট। উদ্ধারকারী দল নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে আরও বেশি যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা যায়।
এই মুহূর্তে দেশবাসী আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার খবরে শোকাহত এবং উদ্বিগ্ন। প্রশাসন এবং উদ্ধারকারী দল পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে।